সুহৃদ স্বাগত

কথা ছিল বিয়ের পর স্বামী বিদেশে চলে যাবে। হলোও তাই। প্রথম প্রথম স্বামী বিদেশ থেকে টাকা পাঠাত। তখন সবকিছু ভালোই চলছিল। কিছুদিন পর হঠাৎ কী হলো সে খরচের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিল। টাকা ছাড়া আকলিমা একা সব সামলাবেন কীভাবে?

আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, তামিম ইকবাল, মাশরাফি, সাকিবদের নাম এদেশের ক্রিকেট ভক্ত সবারই জানা। কিন্তু মোঃ মহসিনের নাম? নাহিয়ান, দেলোয়ার হোসেন, নূর মোহাম্মদ মুনশির নাম? সবার অলক্ষ্যে তারা ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন নিজেদের, বিদেশে গিয়ে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন- এনে দিচ্ছেন সাফল্য।

তখন মাঝরাত। হঠাৎ করেই মাঝির চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। মাহমুদ তাকে জিজ্ঞেস করলেন কোনো সমস্যা? মাঝি বললেন, তারা যেই এলাকা পাড়ি দিচ্ছেন, সেটি জলদস্যুদের আখড়া এবং প্রায়শই দস্যুরা নৌকাতে আক্রমণ চালায়। ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে তবে যদি বিপদে পড়তে হয়?

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য, নারী নির্যাতন এমনকি সাম্প্রতিককালের করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই- এতে তো আমাদের ক্লান্ত হয়ে পড়ার কথা। কিন্তু তারপরও খেলায় বাংলাদেশ দল জিতলে সবাই উল্লাস করে, সবসময়ই ভালো কিছুর জন্য নতুন করে আশায় বুক বাঁধে।

কর্মসূচি থেকে তারা শিখেছেন একটি সম্পদকে ব্যবহার করে আরও কয়েক প্রকার সম্পদ করা, সঞ্চয় জমিয়ে তা ব্যবসায় খাটানোর খুঁটিনাটি। শিখেছেন লাভ-ক্ষতির হিসাব; পেয়েছেন জীবন ও জীবিকা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ। তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানান প্রয়োজনীয় বিষয়ে সচেতন হয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা কীভাবে গ্রহণ করতে হয় সে বিষয়ে হাতেকলমে নিয়েছেন প্রশিক্ষণ।

“আমি বাড়ির ছোটো সন্তান। বাড়ি ছেড়ে আসায় প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি, এখনও পাচ্ছি। এমনকি বাসা ছেড়ে প্রথম যেখানে গেলাম, সেখানেও প্রথম প্রথম আমাকে কেউ মেনে নিতে চায়নি। একদিন আমার সব কথা শুনলেন গুরু মা। শুনে খুবই স্নেহের সাথে বললেন আমি তো তাদেরই একজন, যে কোনো প্রয়োজনে তারা আমার পাশে আছে। এরপর থেকে সবার সাথে ‘কালেকশনে’ যাওয়া শুরু করলাম। দিনশেষে খাওয়া-দাওয়া এবং অন্য সবকিছুই আমরা নিজেরা একসঙ্গে মিলেমিশে করতাম।”

কাগজে-কলমে স্বামীর সঙ্গে আজও কনিকা দিদির ছাড়াছাড়ি হয়নি। তিনি তার সংসারে ফিরে যান না, যাবেনও না- স্বামীও আসেন না। আজও কপালের সিঁদুরটা ঠিকই আছে, কিন্তু সেটা যতটা না স্বামীর মঙ্গল কামনায়, তার চেয়ে অনেক বেশি সমাজের চোখরাঙানির ভয়ে।

মঞ্জু রানী অন্যায়ের প্রতিবাদে কখনও পিছপা হননি। নিজের পরিবারে তো নয়ই। একবার তার ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয়া যখন পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হলেন তখন তিনি ও তার স্বামী প্রতিবাদ করেছেন। তার অধিকারের বিষয়ে তাকে জানিয়েছেন। সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় সালিশের ব্যবস্থাও তিনি নিজেই করেন।

এই ঘটনাগুলো শুধু 'গল্প' নয়, বাস্তব। যে বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে শিউলি স্তম্ভিত, ভীত এবং স্বপ্নহারা। যে বাস্তব একজন নারীর সারা জীবনের ক্ষত হয়ে বুকে জমে থাকে! যে বাস্তব থেকে জন্ম নেয়া প্রবল ভয় জীবনের সারল্য কেড়ে নেয়। রাতদিন যা তাকে তাড়া করে ফেরে।

প্রার্থনা এবং প্রকৃতির সহচার্য আমাদের মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত নিজের মতো প্রার্থনা করা, মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম করা এবং শখের বাগানে বা ছাদে হাঁটাহাঁটি করে সময় কাটালে আমাদের মন শান্ত হয়। সেই সঙ্গে নিজে ভালো থাকার পাশাপাশি আশেপাশের সকলের ভালো থাকার বিষয়েও সচেতন হতে হবে।

কথা হয় লকডাউন নিয়ে, তাদের মনে আত্মবিশ্বাস এবং শক্তি জোগাতে বোঝানো হয় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্র্যাক যথাযথভাবে তার শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতিতেও নতুনত্ব আনতে কাজ করছে। ব্র্যাকের কাছে তার প্রত্যেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা এই মুহূর্তে পাচ্ছে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার।