মা ব্র্যাকের একজন গ্রাম সংগঠক হবার সুবাদে ব্র্যাকের কার্যক্রম সম্পর্কে সুফিয়া জানতেন। কলেজ শেষ করে ১৯৯৭ সালে তিনি শিক্ষিকা হিসেবে ব্র্যাক স্কুলে যোগদান করেন এবং ২০০২ সালে তিনি প্রোগ্রাম সেক্রেটারি পদ লাভ করেন। তাঁর ভাষায়, “কাজটা একদমই সহজ ছিল না”।
জমিটা নাকি ভুতূড়ে। একদম শুরুর দিকে রাতের বেলা যিনি জমি পাহারা দিতেন, তিনি একজন স্থানীয় লোক। কথায় কথায় রাগে গজগজ করতে করতে বলতেন, “ভূতের জমিতে স্কুল করার মজা এবার সবাই বুঝবে। কয়েকটাদিন খালি যাক।“
সকাল ৬টা। গাজীপুরের কালিয়াকৈর গ্রাম। ‘ব্র্যাক স্বাস্থ্য সেবিকা’ লেখা একটি বোর্ডের পাশে ইতিমধ্যেই অপেক্ষমান নিলুফার ইয়াসমিনের কয়েকজন রোগী। তাদের মধ্যে কেউবা কৃষক, কেউবা দোকান চালান। তাঁরা যার যার কাজে যাবার আগে ‘ডাক্তার আপা’র কাছে এসেছেন, যক্ষার নিয়মিত ওষুধ নেবার জন্য।
ঝুমার পড়ালেখা চলে পানিতে। একটি হালকা নীল রংয়ের মাঝারি আকারের নৌকায় তারই মত আরও ২৫ জন। স্কুল আসে ঝুমার বাড়িতে। তার কোথাও যেতে হয় না; নদীতে ভেসে ভেসে চলে পড়ালেখা। আবার স্কুলই তাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যায়।