alormisil

July 30, 2020

একজন সংগ্রামী নারীর জীবনগাথা

দেশে পাঁচ বছর চাকরি করার পর রাফিজা টাকা জমিয়ে ওমানের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতে যান। বিদেশে যাবার আগে তিনি ছেলেকে রেখে যান মায়ের কাছে। আট বছর পর দেশে ফিরে আসেন। ছেলে বড়ো হয়েছে, তাকে এবার ব্যাবসা করার ব্যবস্থা করে দেন। নিজে সেবামূলক কাজের সাথে যুক্ত হবার সিদ্ধান্ত নেন।
July 19, 2020

নিশ্চিত হোক অধিকার

ঢাকায় থাকেন, মেয়েকে নিয়ে ভালোই আছেন, টাকা-পয়সা রোজগার করছেন- এই খবর পেয়ে স্বামী আবার ফিরে আসে হামিদার জীবনে। তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে এবং এক সময় তাদের সম্পর্ক ভালো হলে,স্বামীও ঢাকায় চাকরি নেন। গত মার্চ মাসে মহামারির কারণে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে হামিদা আর তার স্বামী বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে চলে আসার পর আবারও তার কাছে স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির টাকা চাওয়া শুরু হয় ।
July 12, 2020

আমরাই পারি!

“..আমরা বাড়ির যে জায়গাগুলো নিয়মিত হাত দিয়ে স্পর্শ করি (দরজার হাতল, বাথরুমের হাতল, দরজার শিকল ইত্যাদি) ঐ জায়গাগুলো থেকে জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি, তাই সেসব জায়গা জীবাণুমুক্ত রাখতে বেশি খেয়াল করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে টিভি খবরের নিয়মিত আপডেট নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে আলোচনা করি সবসময়।”
July 6, 2020

করোনা মানেই মৃত্যু নয়, প্রচার করি সর্বময়

মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এমন প্রায় ২০ হাজার পরিবারের সাথে আমরা সরাসরি কাজ করছি। বৈশ্বিক এই মহামারিতেও থেমে থাকেনি আমাদের পথচলা। যখন লকডাউন চলছিল, অনেকে প্রশ্ন করতেন, সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই ঘরে আছে, আপনারা কেন ফিল্ডে? আমরা বলতাম, নিজেদের কর্মসুচির সাথে সম্পৃক্ত মানুষের পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় সচেতনতার বার্তাগুলো সকলের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা।
June 29, 2020

করোনার বিরুদ্ধে রাবেয়ার লড়াই

লকডাউন পরিস্থিতিতে যখন ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছিল না, তখন তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সমাজ সেবামূলক কাজ চালিয়ে গেছেন। আবার বাজারে যখন মাস্কের অভাব, তিনি বসে পড়েছেন সেলাই মেশিন নিয়ে। নিজের হাতে প্রায় ১০০টি ফেইস মাস্ক তৈরি করে কমিউনিটিতে বিতরণ করেছেন।
June 23, 2020

কৃষকের পাশে
যুব সম্প্রদায়

গ্রামের ১৪/১৫ জন সমবয়সি যুবক ঠিক করলেন, জমির ধান কেটে বাসায় তুলে দেবেন তারা। প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে কাস্তে নিয়ে জমায়েত হলেন কৃষক নুরুল ইসলাম ও মোতালেব হোসেনের বাড়ির আঙিনায়। জমি চিনিয়ে দিলেই শুরু হলো ধানকাটার উৎসব, ভীষণ আনন্দ নিয়ে সব ধান কেটে, আঁটি বেঁধে নিয়ে আসলেন কৃষকের বাড়িতে।
June 16, 2020

মানুষের কল্যাণে রাতদিন

অসহায় মানুষের সহায়তা নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি শুধু এটুকুই বললেন, ‘আমার সকল কষ্ট আজ পূর্ণতা পেল। আমার নির্বাচন করা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আজ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেল। শুনেছি, সৃষ্টিকর্তা বিপন্ন মানুষের অন্তরের কথা শুনতে পান।’
June 3, 2020

মানুষের কথা ভেবে

এই সময়েও নারীদের ওপর নির্যাতন থেমে নেই। এজন্য কর্মসূচির তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে সেক্টর স্পেশালিষ্ট কাউন্সিলিং আপার মাধ্যমে অনলাইনে টেলি কাউন্সিলিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন এমন নারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাদেরকে মানসিকভাবে কিছুটা হালকা করার চেষ্টা করি।
May 28, 2020

নির্ভীক, নিঃস্বার্থ
এক যোদ্ধা

লকডাউন ঘোষণার পর প্রথম এক মাস কারওয়ান বাজার এলাকায় সকল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের আসা-যাওয়া ছিল প্রায় বন্ধ। বলতে গেলে, সিজুকা একাই ছিলেন মাঠে। মানুষের জন্য কিছু করার প্রবল তাগিদ তাঁকে ঘরে থাকতে দেয়নি। নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই তা সতর্কতা মেনে বেরিয়েছেন পথে। বিশেষ করে তখন সামনে ছিল রমজান মাস। মাঠে না থাকলে বাজারে প্যাকেটজাত দুধের ঘাটতি দেখা দিত।
May 28, 2020

আমাদের যুদ্ধ

রাস্তায় সাধারণ মানুষ, দোকানি যাদের সাথেই দেখা হলো সকলকে লিফলেট দিয়ে কীভাবে ও কেন জীবাণুমুক্ত থাকতে হবে তা বোঝানোর চেষ্টা করতে লাগলাম, সাথে তখনই একবার হেক্সিসল দিয়ে হাত তাদের ধোয়ার ব্যবস্থা। বাজারের এক প্রান্তে একটি কীটনাশকের দোকান থেকে ৩টি স্প্র্রে মেশিন ও জীবাণুনাশক কিনে নিলাম। তারপর স্প্রে মেশিনে পানি ভরে তাতে প্রয়োজনীয় জীবাণুনাশক মিশিয়ে শুরু করলাম আমাদের অভিযান।
May 14, 2020

মানবতার সেবাই
শ্রেষ্ঠ সেবা

কড়াইল বস্তির পুরোটাই আমাদের দেখভাল করতে হয়। এখানকার মানুষেরা আমার কথা শোনেন, মানেন এবং বিশ্বাসও করেন। ড্রেন এবং রাস্তা তৈরির মতো কাজে সহযোগিতা করায় বস্তিতে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।
May 12, 2020

করোনা কালের প্রাপ্তি

অফিস-আদালত, দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে গেল ঠিকই, কিন্তু আমরা থামিনি। আমরা পরিবারের কাছে  ফিরে না গিয়ে ব্র্যাকের পক্ষে জনগণের পাশে দাঁড়ালাম। নিজের সিদ্ধান্তের কথা মাকে জানালাম। বললাম, আমি এই কাজের সাথে থাকতে চাই, তাই এই মুহূর্তে আর বাসায় ফিরছি না।