আহমদ মোশ্‌তাক রাজা চৌধুরী

July 11, 2021

আমার ব্র্যাক জীবন: ল্যানসেটে বাংলাদেশ কথা

১৯৯৭ সালে যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাব বা ইনফেকশনের ওপর ব্র্যাক কার্যক্রমের প্রভাব নিয়ে পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রবন্ধ আকারে ছাপা হয়েছে ল্যানসেটে। যার লেখক ছিলেন আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী। তারও আগে ১৯৯৩ সালে আরেকটি লেখা ছাপা হয়েছিল তাঁর। উল্লিখিত লেখায় মুখে খাওয়ার স্যালাইন কীভাবে আমাদের সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল, সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছিল। ১১-১২ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিল।
January 25, 2021

আমার ব্র্যাক জীবন – ‘ফ্রম দ্যা গ্রাউন্ড আপ’

ব্র্যাকের নানা বয়সি এবং লেভেলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছিলাম যে, আশির দশকে ব্র্যাকে যেসব কালজয়ী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সে সম্পর্কে খুব কমসংখ্যক কর্মীরই ধারণা আছে। বেশ একটা অপরাধবোধ জাগ্রত হলো। ভাবলাম, এটা আর বেশিদিন ফেলে রাখা যাবে না। যতুটুকু ক্ষমতা আছে তাই দিয়ে অন্তত কিছুটা দলিলবন্দি করার চেষ্টা করতে হবে। প্রথমেই ব্র্যাকের কৃষিক্ষেত্রে অবদানের বিষয় নিয়ে ভাবলাম। আমার জানা ছিল আশি ও নব্বইয়ের দশকে ব্র্যাক কী কী উদ্যোগ নিয়েছিল, যা এক পর্যায়ে চরম সফলতায় পর্যবসিত হয়।
December 30, 2020

মতলব: গৌরবময় গবেষণার স্মৃতি

‘১৯৯৩ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত একটি বিশেষ প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ও সার্বিক উন্নয়নের সম্পর্ক নিয়ে বিশদ বিশ্লেষণ করা হয়। সেখানে বেশকিছু প্রমাণের সহায়তায় দেখানো হয় যে, কীভাবে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।’
September 16, 2020

১৬ লক্ষ চশমা!

রিডিং গ্লাস বা চশমাকে দারিদ্র্য বিমোচনের কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে- এই ভাবনার বিষয়ে জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমার মনে এলো বাংলাদেশে কর্মরত ব্র্যাকের স্বাস্থ্যসেবিকাদের কথা। মনে পড়ল আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের হাজার হাজার কারিগরদের কথা। জানতাম, চোখে কম দেখার কারণে অনেকেই সূক্ষ্ম কাজ করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েন। এর ফলে অনেকের রোজগার কমে যেত, এমনকি কেউ কেউ কাজও হারিয়েছেন। চোখের ডাক্তার দেখানো হয়তো অনেকের সাধ্যের অতীত, তাই তাদের কাছে একটি সমাধান পৌঁছে দেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
August 30, 2020

লবণ-গুড় স্যালাইন : উন্নয়নে ওটেপ একটি গেম চেঞ্জার

ডায়রিয়ার প্রকোপ যেখানে বেশি সেই গ্রামাঞ্চলে এটি কোনোভাবেই পৌঁছানো সরকার বা কারও পক্ষেই সম্ভব ছিল না। তার ওপর রয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যয়। তখন বলা হতো যে, প্রতিটি ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে যদি দু প্যাকেট স্যালাইন ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা প্রজাতন্ত্রের সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বাজেট ছাড়িয়ে যাবে। একটা বিকল্প হিসেবে মনে হলো যদি মানুষকে ঘরে বসে এই স্যালাইন বানানোর কৌশল শেখানো যায় তাহলে কেমন হয়?
April 4, 2020

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি: ডায়রিয়া এবং ইবোলা ক্যাম্পেইন থেকে আমরা কী শিখলাম

আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ধ্যান-ধারণা মতে রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের যে দুটি অভ্যাস কঠোরভাবে পালন করতে হবে তা হলো- হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার কারণে হাত ধোয়ার বিষয়টি সম্পর্কে এখন অনেকেই জানেন এবং তথ্য বলছে এর চর্চাও করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে তেমন আশানুরূপ সফলতা দেখা যাচ্ছে না।