সিলেটের ধনকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাজেরা বেগম হন্তদন্ত হয়ে তার ঘরে ঢুকতে ঢুকতে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন আসতে একটু দেরি হবার জন্য। “কিছু মনে কইরেন না, একটা মিটিং ছিল তো!”
গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার একজন নেতৃস্থানীয় সদস্য হাজেরা, সেখানেই ছিল তার মিটিং। “আমি চাই সবাই মিটিংগুলোতে থাকুক। সবার কাজের কি অবস্থা, কার কি সুবিধা-অসুবিধা, এসব ব্যাপার নিয়মিত জানার জন্য আমরা মাসে অন্তত দুইবার মিটিং করি।”
দু’বছর আগেও, হাজেরার জীবনের একেকটি দিন ছিল অনেক কষ্টকর এবং শ্রমসাধ্য; তখন খুব কমই তিনি বাড়ির বাইরে বের হতেন। চার সন্তান, কৃষক ও খন্ডকালীন দিনমজুর স্বামীর জন্য রান্নাবান্না, ঘরদোর পরিষ্কার করাই ছিল তার প্রধান কাজ। অতীতের এই কষ্টের কথাগুলো …
যার যত্নে এই হাঁসগুলো বেড়ে উঠছে তিনি হলেন বানুমতি। নিজের খামারের চারশ হাঁস সারাদিন মাঠে চরিয়ে এখন বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। ‘ওই ভয় দেখাইস না’- একটা ছোট ছেলে হাঁসগুলোর কাছাকাছি যেতেই বানুমতি ধমকে ওঠেন – ‘ভয় দেখাইলে ওরা ডিম পাড়া বন্ধ কইরা দিব, জানস না।’
বানুমতির হাঁসগুলো দৈনিক অন্তত তিনশ ডিম পাড়ে। ডিম বিক্রি করে প্রতি সপ্তাহে তাঁর আয় হয় ১২,০০০ টাকারও বেশি!
বানুমতি স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার সদস্য। সংস্থা থেকে ৯০,০০০ টাকা ঋণ নেন তিনি। সেই টাকা দিয়ে এক হাঁসপালকের কাছ থেকে তিন মাস বয়সী চারশটি হাঁসের বাচ্চা কেনেন। সঠিকভাবে হাঁসপালন করতে পারলে আমাদের দেশে অনেক কম বিনিয়োগে যে বেশি …