চিকেনপক্স অতিমাত্রায় সংক্রামক একটি রোগ। এই রোগ সারতে সাধারণত ১ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় লাগে। আক্রান্ত ব্যক্তির সব ফোসকা সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নিতে হবে।
চিকেনপক্স কী?
চিকেনপক্স একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ।
চিকেনপক্সের লক্ষণ কী কী?
► মাথাব্যথা হতে পারে।
► জ্বর (১০১-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট অথবা ৩৮.৩-৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত) হতে পারে।
► গলাব্যথা অথবা পেটব্যথা হতে পারে।
► ফুসকুড়ি (প্রথমে পোকার কামড়ের চিহ্নের মতো তৈরি হয়, এরপর তরল-পূর্ণ ফোসকা হয়। তারপর ফোসকার দেয়ালগুলি ভেঙে গিয়ে ঘা তৈরি হয়,অবশেষে ঘায়ের ওপর শুষ্ক বাদামি আবরণ হয়ে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়) হয়।
► চুলকানি হতে পারে। সাধারণত পেটে, পিঠে এবং মুখের দিকে ফোসকা পড়া শুরু হয়। তারপর এটি শরীরের প্রায় সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
সতর্কতা
► চিকেনপক্সে আক্রান্ত রোগীকে অ্যাসপিরিন খাওয়ানো যাবে না। এতে রেইস সিন্ড্রোম নামক গুরুতর রোগ হতে পারে।
► আক্রান্ত ব্যক্তির সব ফোসকা সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নিতে হবে। এই রোগ সারতে সাধারণত ১ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় লাগে। রোগ সেরে গেলে আপনার সন্তান স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত কি না, সে বিষয়ে মনের মধ্যে অনিশ্চয়তা থাকলে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করুন।
চিকেনপক্স কি সংক্রামক?
চিকেনপক্স অতিমাত্রায় সংক্রামক একটি রোগ। আক্রান্ত রোগীর লালা (থুতু), ফোসকা থেকে নির্গত তরল পদার্থ এবং কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। ফুসকুড়ি শুরু হওয়ার প্রায় ২ দিন আগে থেকে যতক্ষণ না সব ফোসকা পুরোপুরি শুকিয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত এটি সংক্রামক।
চিকিৎসা
► চিকেনপক্সে সাধারণত কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
► শরীর চুলকানো যাবে না (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চুলকানো বন্ধ করতে না পারলে হাতে হাতমোজা পরিয়ে রাখতে হবে অথবা আঙুলের নখ কেটে ছোটো করে দিতে হবে)।
► কুসুম কুসুম গরম অথবা ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে হবে।
► ক্যালামাইন লোশন লাগাতে হবে (মুখে, বিশেষ করে চোখের নিচে না লাগানোই ভালো)।
► মুখের ভেতর এবং গলা আক্রান্ত হলে নরম ও তরল খাবার খেতে হবে।
► শিশুদের চিকেনপক্স হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।
চিকেনপক্সে আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা গ্রহণ করুন।