এই ধরিত্রী আমাদেরই অংশ

June 3, 2020

এই বাতাস লালমানুষের কাছে মহামূল্যবান! পশুপাখি, গাছপালা, মানুষ- সকল জীবিত প্রাণী এই বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়। শ্বেতাঙ্গ মানুষ, তারাও নিঃশ্বাস নেয় এই বাতাসেই। কিন্তু পরম মূল্যবান এই বাতাসকে আলাদাভাবে খেয়াল করার ক্ষমতা শ্বেতাঙ্গদের আছে বলে মনে হয় না। তারা যেন সেই মুমূর্ষু মানুষ, যারা দুর্গন্ধকেও শনাক্ত করবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।

ওয়াশিংটনের বড়কর্তার কাছে আমেরিকান আদিবাসী গোত্রপ্রধানের চিঠি

আমেরিকান আদিবাসীদের সাসকুয়ামিশ গোত্রের প্রধান সিয়াটল ১৮৫৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এই বিখ্যাত চিঠিটি রচনা করেছিলেন। সিয়াটলের জন্ম হয়েছিল আনুমানিক ১৭৮৮ সালে ওরিগন রাজ্যে (বর্তমানে ওয়াশিংটন)। তাঁর পিতা ছিলেন ওরিগনের পুগেট সাউন্ড অঞ্চলের প্রধান। সিয়াটলের বয়স যখন চার বছর, তখন সে অঞ্চলে শ্বেতাঙ্গদের বসতি স্থাপন শুরু হয়। তাঁর পিতা সবসময়ই শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে এক ধরনের সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন। পিতার মতো সিয়াটলেরও শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। যৌবনে সিয়াটল ছিলেন অসমসাহসী যোদ্ধা। ছয়টি গোত্রকে তিনি তাঁর নেতৃত্বের অধীনে নিয়ে আসেন।

১৮৫৫ সালে ৬৭ বছর বয়সে সিয়াটল একটি চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে তাদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন। এর ১১ বছর পর ১৮৬৬ সালে সিয়াটল রিক্ত, ক্ষুধার্ত অবস্থায় ওয়াশিংটনে আমেরিকান আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত একটি শিবিরে করুণভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

সিয়াটলের এই চিঠিটির মধ্যে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের গভীর প্রীতিপূর্ণ সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তাকে অসাধারণ আবেগায়িত ভাষায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আজকের যুগে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য যখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন, তখন এই চিঠির মর্মকথা আমাদেরকে প্রকৃতির কাছে ফিরে যেতে, তার প্রতি সদয় আচরণ করতে প্রেরণা জোগাবে।

পাঠকদের জন্য এই অসাধারণ লেখাটির অনুবাদ ছাপা হলো। ইরেজিতে এর চার রকমের পাঠ রয়েছে। আমাদের অনূদিত পাঠটির মূল লেখক অধ্যাপক টেড পেরি।

আমাদের জমি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে ওয়াশিংটন থেকে বড়কর্তা চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি আমাদের বন্ধুত্ব ও মঙ্গল কামনা করেছেন। তাঁর অসীম দয়া! যদিও আমরা জানি, আমাদের বন্ধুত্বের খুব একটা প্রয়োজন তাঁর নেই। আমরা এও জানি, যদি আমরা জমি বেচতে রাজি না হই, তবে শ্বেতাঙ্গরা বন্দুকের জোরেই তা আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু আমি ভাবি, মাটির উষ্ণতা আর আকাশকে কীভাবে আপনারা কেনাবেচার নিক্তিতে ওঠাতে পারেন? এসব ভাবনা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অলীক বলে মনে হয়। তাজা বাতাস আর উচ্ছ্বল জলধারার মালিক যদি আমরা না হই, তাহলে আপনারা তা কীভাবে কিনতে পারেন?

এই পৃথিবীর প্রতিটি অংশ আমার লোকদের কাছে অতি পবিত্র। চকচকে পাইনপাতা, বালুকাময় সমুদ্রতীর, ঘন বনের প্রতি বিন্দু শিশির, গুঞ্জরিত পতঙ্গ সবকিছুই আমার মানুষের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতায় অতি পবিত্র। আমাদের প্রতিটি বৃক্ষের শিরায় শিরায় প্রবাহিত প্রাণরস লালমানুষদের স্মৃতিকেই বহন করে চলেছে।

শ্বেতাঙ্গদের মৃত আত্মারা যখন তারাদের মাঝে পরিভ্রমণ করে তখন তারা নিজ জন্মভূমির কথা বিস্মৃত হয়। কিন্তু আমাদের মৃতেরা কখনও এই অপরূপ পৃথিবীকে ভোলে না। তারা তাকে লালমানুষদের মা বলে জানে। আমরা জানি, আমরা এ ধরিত্রীরই অংশ এবং এই ধরিত্রী আমাদেরই অংশ। সুগন্ধি ফুলেরা আমাদের বোন। হরিণ, ঘোড়া, পাখামেলা ইগল এরা সকলে আমাদের ভাই। পাথুরে চূড়া, তৃণভূমির জমে থাকা জল, টাট্টুর শরীরের উত্তাপ আর মানুষ-আমরা সকলে মিলে যেন একই পরিবার।

আমেরিকান আদিবাসীদের সাসকুয়ামিশ গোত্রের প্রধান সিয়াটল

তাই, আমাদের জমি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে ওয়াশিংটন থেকে বড়কর্তা যখন চিঠি লিখে পাঠান, তখন তিনি মূলত অসম্ভবকেই দাবি করে বসেন। তবে তিনি এও আশ্বাস দিয়েছেন যে, আমাদের জন্য আলাদা সংরক্ষিত ভূমির ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে আমরা আমাদের মতো করে শান্তিতে বসবাস করতে পারব। তিনি হবেন আমাদের পিতা আর আমরা সকলে হব তাঁর সন্তান। তাই, আমাদেরকে তাঁর এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখতে হবে। কিন্তু সে কাজ তো মোটেও সহজ হবে না। কেননা, এই ভূমি আমাদের কাছে অতি পবিত্র।

ঝরনা আর নদীগুলো-দিয়ে-বয়ে-যাওয়া উজ্জ্বল জলধারা আমাদের কাছে শুধুই জলের প্রবাহ নয়, তা আমাদের পূর্বপুরুষের রক্তস্রোত। আমরা যদি এই ভূমি আপনাদের কাছে বিকিয়ে দিই, তবে মনে রাখবেন তা অতি পবিত্র। আপনারা আপনাদের সন্তানদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিন যে, আমাদের এই ভূমি পবিত্র। হ্রদের স্বচ্ছ জলের গায়ে আলোর প্রতিটি নাচন আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতিময় অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রবাহিত জলের কলধ্বনিতে আমরা আমাদের প্রপিতামহের কণ্ঠস্বর শুনতে পাই।

এই ভূমির বুকে বয়ে-চলা নদীগুলো আমাদের ভাই। তারা আমাদের তৃষ্ণা মেটায়, আমাদের ক্যানুগুলোকে বয়ে নিয়ে যায়, আমাদের সন্তানদের আহার জোগায়। যদি এই জমি আমরা আপনাদের কাছে বিকিয়ে দিই, তবে আপনাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে এবং আপনাদের সন্তানদের জানিয়ে যেতে হবে যে, এই নদীগুলো আমাদের-আপনাদের সকলের ভাই। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের যে মমতা, সেই মমতায় নদীগুলোকে আপনাদের পালন করতে হবে।

আমরা জানি যে, শ্বেতাঙ্গদের ভাবনাগুলো আমাদের মতো নয়। তাদের কাছে একটি জমির সঙ্গে অন্য জমির আদৌ কোনো তফাত নেই। তারা যেন অন্ধকার রাতে অকস্মাৎ উদয় হওয়া আগন্তুক, যারা তাদের ইচ্ছেমতো শুধু লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। এই ধরিত্রী তাদের সহোদর নয়, শত্রু। তারা কেবল শত্রুকে পরাস্ত করে সামনে এগিয়ে যেতে জানে। তারা তাদের মৃত পিতার সমাধি পরিত্যাগ করে, সন্তানের জন্মগত অধিকারের কথা অবলীলায় ভুলে যায়। যে ধরিত্রী আমাদের মা, আর যে আকাশ আমাদের ভাই, তাদের কাছে তা কেবলই পণ্য। যেন তা ভেড়া অথবা রঙিন পুঁতি, যা কেনা যায়, বেচা যায় অথবা লুণ্ঠন করা যায়। তাদের সীমাহীন ক্ষুধা একদিন পৃথিবীকে নিঃশেষ করে আদিগন্ত মরুভূমি করে তুলবে।

আপনারা মনে করেন আমরা কিছুই জানি না। আমাদের পথগুলোও আপনাদের চাইতে ভিন্ন। শ্বেতাঙ্গদের শহরগুলোর দৃশ্যও লালমানুষদের চোখে বেদনার জল বয়ে আনে। হয়তো এসবের কারণ এই যে, লালমানুষেরা মূলত বর্বর আর নির্বোধ!

শ্বেতাঙ্গদের শহরগুলোতে নির্জন কোনো জায়গা নেই। বসন্তের পাতাঝরার শব্দ কিংবা পতঙ্গের গুঞ্জন শোনা যায় এমন কোনো স্থান সেখানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। হয়তো আমার কাছে এমনটি মনে হয় কেননা আমি কোনকিছুই বুঝতে-না-পারা এক বর্বর মাত্র! কিন্তু এও সত্য যে, শ্বেতাঙ্গদের শহরের কোলাহল আমার শ্রবণের কাছে অপমানকর বলে মনে হয়। নিঃসঙ্গ নিশাচর পাখির আর্তস্বর অথবা নিশুতি রাতে পুকুর ঘিরে ব্যাংদের তুমুল কলহ যদি না শুনতে পাই, তবে সেই জীবনের আর কী অর্থ থাকতে পারে? অবশ্য আমি একজন লালমানুষ আর তাই হয়তো সবকিছু বুঝতেও পারি না! কিন্তু আমি জানি পুকুরের শান্ত জলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসের কোমল স্বর আর পাইনের গন্ধমাখা বৃষ্টিধোয়া বাতাসের ঘ্রাণ একজন লালমানুষের কাছে কতই-না প্রিয়।

এই বাতাস লালমানুষের কাছে মহামূল্যবান! পশুপাখি, গাছপালা, মানুষ সকল জীবিত প্রাণী এই বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়। শ্বেতাঙ্গ মানুষ, তারাও নিঃশ্বাস নেয় এই বাতাসেই। কিন্তু পরম মূল্যবান এই বাতাসকে আলাদাভাবে খেয়াল করার ক্ষমতা তাদের আছে বলে মনে হয় না। তারা যেন সেই মুমূর্ষু মানুষ, যারা দুর্গন্ধকেও শনাক্ত করবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা যদি আমাদের এই মাটি আপনাদের কাছে বিকিয়ে দিই, তবে আপনাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এই বাতাস আমাদের কাছে মহামূল্যবান। এই বাতাসেই আমাদের পিতামহ তাঁর প্রথম নিঃশ্বাস নিয়েছিলেন আবার এই বাতাসের মধ্যেই তাঁর শেষ দীর্ঘশ্বাস মিশে আছে। যদি জমিগুলো আমরা আপনাদের কাছে বিকিয়ে দিই, তবে দয়া করে আপনারা এগুলোকে এমনই স্বাধীন আর পবিত্র রাখবেন, যেন শ্বেতাঙ্গরাও এখানে এসে জলাভূমির মিষ্টি ফুলের সুবাসমাখা বাতাসে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে।

কেবল তাহলেই আমরা আপনাদের জমি কেনার প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখতে পারি। কিন্তু একটা শর্ত আছে আমাদের। তা হলো, এই প্রান্তরের সকল পশুর সঙ্গে আপনারা ভাইয়ের মতো আচরণ করবেন।

হয়তো আমরা বর্বর, তাই এ ছাড়া অন্য কিছু আমাদের মাথায় আসে না। আমি দেখেছি, শ্বেতাঙ্গরা চলন্ত ট্রেন থেকে কীভাবে মহিষের পালের ওপর নির্বিচারে গুলি ছুড়েছে আর হাজার হাজার মহিষের মৃত পচনশীল দেহ তৃণভূমির বিশাল প্রান্তর জুড়ে কীভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। আমি একজন বর্বর বলেই হয়তো কিছুতেই বুঝতে পারি না ধূমায়িত লৌহচিহ্নিত অশ্বগুলো শ্বেতাঙ্গদের কাছে কীভাবে মহিষের চাইতেও মূল্যবান হতে পারে, যে মহিষ আমরা শুধু বেঁচে থাকার প্রয়োজনে হত্যা করে থাকি।

পশুরা না থাকলে মানুষের অস্তিত্ব কোথায়? যদি পশুরা বিলুপ্ত হয়, তবে মানবাত্মাও মহা নিঃসঙ্গতায় ভুগে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কেননা, পশুদের অদৃষ্টে যা ঘটবে, মানুষও অচিরে সেই একই অদৃষ্ট ভোগ করবে। বিশ্বজগতের সবকিছুই তো একে অপরের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়িয়ে আছে।

আপনারা নিজেদের সন্তানদের এই শিক্ষা দেবেন যাতে তারা জানে যে, তাদের পায়ের নিচের মাটি আমাদের পূর্বপুরুষদের দেহাবশেষ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। তারা যেন সেই মাটিকে যথার্থ সম্মান করতে শেখে। আপনারা সন্তানদের বলুন যে, এই পৃথিবী আমাদের জ্ঞাতিজনদের জীবন থেকে ঋদ্ধ হয়েছে। আমরা আমাদের সন্তানদের যে শিক্ষা দিই, একই শিক্ষা আপনারাও আপনাদের সন্তানদের দেবেন। তাদেরকে আপনারা শেখান যে, এই ধরিত্রী আমাদের মা। মায়ের ভাগ্যে যা ঘটবে, সন্তানদের ভাগ্যেও তা-ই ঘটবে। মানুষ এই বিশ্বজগতের জাল বোনেনি, সে সেই জালের একটি সুতোমাত্র। এই জাল ছিন্ন করলে সে নিজেই বিপন্ন হবে।

শ্বেতাঙ্গ মানুষ, ঈশ্বরের সঙ্গে নিয়তই যাদের বন্ধুর মতো ওঠাবসা, তারাও নিয়তির হাত থেকে রেহাই পাবে না। তবে সবকিছুর পরেও আমরা পরস্পরের ভাই হতে পারি। আমরা নিশ্চয়ই দেখতে পাব, যে সত্য আমরা জানি এবং আপনারাও একদিন সেই সত্যটিকে ঠিকই আবিষ্কার করতে পারবেন যে, আমাদের উভয়ের ঈশ্বরই অভিন্ন। এখন হয়তো আপনারা ভাবছেন, ঈশ্বরের মালিকানা কেবল আপনাদেরই, ঠিক যেমন আমাদের এই জমিগুলো কিনলেই তার মালিক হয়ে যাবেন আপনারা! কিন্তু তা অসম্ভব। তিনি তো সকল মানুষের ঈশ্বর। লাল কিংবা সাদা সব মানুষের প্রতিই তাঁর রয়েছে সমান দরদ। তাঁর কাছে এই পৃথিবী মূল্যবান। আর এই পৃথিবীর ক্ষতিসাধন তো মূলত সৃষ্টিকর্তারই বিরুদ্ধাচরণ। এই সত্য অন্য যে কারুর আগে শ্বেতাঙ্গরাই বুঝতে পারবে। আপন শয্যাকে কণ্টকিত করলে তাতে নিজেকেই জর্জরিত হতে হয়।

ঈশ্বর, যিনি কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে আপনাদের এই ভূখণ্ডে নিয়ে এসেছেন এবং এই ভূমি আর লালমানুষদের ওপর আধিপত্যের অধিকার দিয়েছেন, তিনিই তাঁর শক্তি দিয়ে আপনাদের বিনাশ করবেন। অদৃষ্ট আমাদের কাছে পরম রহস্যময়। যখন প্রান্তরের সব মহিষ বধ করা শেষ হবে, পোষ মানাবার জন্য আর একটি বুনো ঘোড়াও থাকবে না, গহিন অরণ্যের দুর্গম প্রান্তগুলোও যখন মানুষের ভিড়ের গন্ধে শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে আসবে, পাহাড়গুলোকে বেঁধে ফেলবে কথা বলার তার, তখন আমরা পরস্পরকে প্রশ্ন করব, এই প্রান্তরের ঘন অরণ্যগুলো কোথায়? আর কোথায় সেই পাখামেলা ইগলগুলো?

 

 

টীকা

– আমেরিকার উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের আদি বাসিন্দা। ইউরোপীয়দের আগমনের বহু আগে থেকেই এরা এ অঞ্চলে বসবাস করত। চিঠিতে লালমানুষ বলতে এই আমেরিকান আদিবাসীদেরই বোঝানো হয়েছে।

– লম্বা এবং হালকা নৌকা

4 4 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Md.Moniruzzaman
Md.Moniruzzaman
3 years ago

this is an informative articl. What is true is this truth throughout life. Truth can never be covered up with lies.